প্রিয় শিক্ষার্থী এখন যে বিষয়ে আলোচনা করবো তা হচ্ছে- বৈদুতিক কাজে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (OHS) এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম।
পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (OHS):
কর্মক্ষেত্রে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকাই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বা OHS এর মূল বিষয়। নিরাপদ কাজের জায়গা প্রত্যেক কর্মীর অধিকার। তারা প্রতিদিন কাজের ক্ষেত্র হতে নিরাপদ ও সুস্থ শরীরে ফিরে যাবে সহজ ভাবে বলতে তাই OHS।
স্বাস্থ্য: ওয়ার্ল্ড হেল্থ ওরগানাইজেশনের সঙ্গানুসারে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক ভাবে সুস্থ থাকার নামই স্বাস্থ্য। শুধুমাত্র রোগের অনুপস্থিতিই সুস্বাস্থ্য নয়।
নিরাপত্তার মৌলিক নির্দেশনা:
- একাকি কাজ না করা যখন কোন পাওয়ার চালিত যন্ত্র দ্বারা কাজ করবে তখন অন্তত দুইজন থাকতে হবে।
- ক্লান্ত বা দূর্বল অবস্থায় কাজ না করা। যখন খুব ক্লান্ত অথবা মানসিক চাপে থাকা বা তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার চাপ ।
- নিরাপদে কোন কাজ করতে না পারলে তা না করাই ভাল। আমি কতটুকু পারবো তার একটি সীমা আছে।
- শপে সবসময় নিরাপদ জুতা পরা। টুল, কাটিং চিপস, অন্যান্য পার্টস অনেকসময় চোকা, ধারালো ও গরম থাকে; তখন নিরাপদ জুতা রক্ষা করবে।
- চোখের নিরাপত্তা খুব দরকার । কাজের সময় ও পরিস্কার করার সময় চশমা পড়তে হবে।
- চালিত যন্ত্রে কোন কাপড় বা অন্যকিছু জড়িয়ে যেতে পারে তা সরিয়ে রাখা বা নিরাপদ স্থানে রাখা। যেমন- রিং, নেকলেছ, লম্বা চুল, ঢিলা কাপড় চলন্ত মেশিনে জড়িয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
- ধারালো টুলস থেকে হাত দূরে রাখা
- ধুলা, রাসায়নিক বস্তু এবং ধোঁয়া খুব বিপদজনক । তাই ভাল ভেন্টিলেটেড জায়গায় কাজ করলে ঐসব হ্যাজার্ড এর সম্ভাবনা কম থাকে।
- যদি কোন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া।
- শপ পরিস্কার করা- কাজ শেষে চলে যাওয়ার পূর্বে টুলসগুলো টুলসবক্সে রাখা এবং মেশিন ও ফ্লোর পরিস্কার করা।
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য এর প্রয়োজনীয়তাঃ
- কর্মক্ষেত্রে জীবন হানির সম্ভাবনা কম
- কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- আঘাতজনিত কষ্ট এড়িযে চলা।
- অঙ্গহানির সম্ভাবনা কম
- উপাজৃন ক্ষমতা নষ্ট হয় না
- স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল। সুতরাং সুস্বাস্থ্য জীবযাপন্
- অধিক আয বজায় থাকা
- উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হয় না। উৎপাদনশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
- কর্মঘন্টা নষ্ট হয় না।
- পঙ্গুত্ব বরণ করে পরিবার ও সমাজের বোঝা হতে হয় না।
- পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ নিশ্চিত করা।
- মাতাপিতা বাধ্যকে উপার্জনক্ষম সন্তান হারাবেনা।
- সংসারের সুখ বজায় থাকে।
- আর্থিক স্বাচ্ছলতা ব্যাহত হয়না বরং অধিক আয় উন্নতামানের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত হয়।মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে যা উৎপাদনশীলতার একটি কারণ।
- কাজে মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়।সম্পদের ক্ষতি হতে রক্ষা পায়া যায়।
- চিকিৎসার সময় ব্যাপ্তি (আঘাত পরবর্তী ব্যথা ও সমস্যা) ও খরচ কমানো।
- সন্তান এতিম হওয়ার অভিশাপ থেকে রক্ষা পায়।
- স্ত্রী অসময়ে বিধবা হওয়া অভিশাপ থেকে রক্ষা পায়।
- প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না ফলৈ মালি ও শ্রমিক লাভবান হয়।
- সংক্রামণ প্রতিরোধ করা।
- আরো আহত হওয়া প্রতিরোধ করা।
- সমাজ এজন্য কর্মঠ কর্মী পায় যা সমাজের জন্য বড় সম্পদ।
- দেশের সার্বিক উন্নতি সাধত হয়।
- রাষ্ট্রীয় নিয়মের প্রতি অনুপাত প্রদর্শন।
বৈদ্যুতিক কাজে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধানে ব্যবহৃত সরঞ্জাম:
One comment
Pingback: একজন ইঞ্জিনিয়ার বা ইলেকট্রিশিয়ানের নির্মাণ সেক্টরে বৈদ্যুতিক কাজ