Job News
NOTS

সফল উদ্যোক্তার গুণাবলি (Qualities of a successful entrepreneur)

এখন আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তা হচ্ছে, একজন সফল উদ্যোক্তার গুণাবলি (Qualities of a successful entrepreneur) বা ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য একজন উদ্যোক্তার যে গুণ গুলো থাকা জরুরী। তো চলুন শুরু করা যাক।

সফল উদ্যোক্তার গুণাবলি (Qualities of a successful entrepreneur):

অনেকেই বলে থাকেন যে, উদ্যোক্তাগণ জন্মগত বা পূর্ব পুরুষের ব্যবসা থেকে উদ্যোক্তা হয়ে যান। অর্থাৎ জন্মসূত্রেই তিনি বহু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায় গুণের অধিকারী হন যা তাকে একজন উদ্যোক্তা নামে পরিচিত করতে সহায়তা করে। বর্তমান সময়ে অবশ্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সুযোগসুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা যায়। একজন উদ্যোক্তার প্রধান প্রধান গুণসমূহ হল-

১. আত্মবিশ্বাস

২. স্বাধীনচেতা মনোভাব

NOTS

৩. উদ্যম

৪. সাহস

৫. অধ্যবসায়

৬. সংবেদনশীলতা

৭. সৃজনশীলতা

৮. উদ্ভাবনি শক্তি

৯. কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা

১০. ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতা

১১. নেতৃত্বদানের যোগ্যতা

১২. পুঁজি সংগ্রহের ক্ষমতা ইত্যাদি।

উদ্যোক্তাগণ দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধাগুলো চিহ্নিত করে তা বাণিজ্যিক লক্ষ্যে ব্যবহার করতে সক্ষম। শিল্প উন্নয়নের জন্য সরকার প্রদত্ত সুযোগের ব্যবহারে তারা দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সীমিত সম্পদের মধ্যে পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সফল উদ্যোক্তাগণ বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো আগে থেকে অনুমান করেন এবং সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সৃষ্ট পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলা এবং অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্টানের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা একজন সফল উদ্যোক্তার অন্যতম গুণ বলে বিবেচনা করা হয়।  ব্যবসায়ের সংঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ঝুঁকি সফলতা সাথে চিহ্নিত করেন এবং তা থেকে মুক্ত বা কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরিমিত পরিমাণ ঝুঁকি গ্রহণ সফল উদ্যোক্তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য।

ব্যবসায় থেকে প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনের অনিশ্চয়তাকেই ব্যবসায়ের ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা পূর্বেই ঝুঁকির সম্ভাব্য কারণ ও মাত্রা অনুমান করেন এবং সেগুলো মোকাবিলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সফল উদ্যোক্তা গতিশীল নেতৃত্ব গুণের অধিকারী হয়ে থাকেন। তিনি পুঁজি সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থসংস্থান ও তার যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের বস্তুগত ও জনসম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে দক্ষতার পরিচয় দেন। ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার কলা-কৌশল বিষয়ে একজন সফল উদ্যোক্তা গভীরতম ধারণা এবং জ্ঞান রাখেন। প্রচলিত প্রযুক্তির সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করতে একজন সফল উদ্যোক্তার ধারণা সময়োপযোগী থাকে।

ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা নিরলস শ্রম দেন এমনকি তারা তাদের ব্যক্তিগত সকল আরাম আয়েশ ও ভোগ-বিলাস পরিহার করে থাকেন। একজন সফল উদ্যোক্তা নিজের ক্ষমতা ও সকল সিদ্ধান্তের প্রতি এতটাই আস্থাশীল থাকে যে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবিরাম কাজ করেন এবং ফলাফল অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত কাজে নিয়োজিত থাকেন। কাজে সাফল্য অর্জনে তীব্র আখাংকা তাদের চরিত্রের একটি উল্লেখযোগ্য দিক।

প্রকৃত উদ্যোক্তারা নিজেদের ভুল অকপটে স্বীকার করেন এবং ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা এবং অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ উদ্যোক্তার একটি বিশেষ গুণ। সফল উদ্যোক্তা তাদের কাজের সাফল্যে পরিতৃপ্তি ও অসীম আনন্দ পান।

আজ এই পর্যন্ত আগামী পোষ্টে ব্যবসা উন্নয়ন বা উদ্যোক্তাদের নিয়ে আরো আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!